মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪
 

রাজাপুরে শ্রেণিকক্ষে ভেঙে পড়ল ভবনের কলাম, ৫ শিক্ষার্থী আহত

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৮ জুলাই ২০২৪

ছবি: যুগের কন্ঠস্বর

নিজস্ব প্রতিবেদনঃ কাঠালিয়া ঝালকাঠি

ঝালকাঠির রাজাপুরে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কলাম ধসে পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। রোববার ক্লাস চলাকালীন বেলা পৌনে ১১টার দিকে ৩ নং পূর্ব সাতুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহত শিক্ষার্থীরা হলো, ফয়সাল আজমের ছেলে জুনায়েদ আজম, আবু বকর খানের ছেলে লিটন খান, হেলালের ছেলে রনি হাওলাদার, মানিক আকনের ছেলে আব্দুল্লাহ, আলমগীর হোসেনের ছেলে তামিম। আহতদের সবাই পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এদিকে দুর্ঘটনার পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পুরো বিদ্যালয়ে। ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।

আহতরা শিক্ষার্থী জানান, অনেকদিন থেকেই ওই ভবনের পলেস্তারা খসে পড়ছে। রোববার দুপুরে হঠাৎ কলামসহ বিভিন্ন স্থানের পলেস্তারা ধসে পড়ে। এতে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পায় ক্লাসে থাকা পাঁচ শিক্ষার্থী।

তারা আরও জানায়, বিকট শব্দে কলাম ধসে পড়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কিত হয়ে দিগি¦দিক ছুটতে থাকে তারা। নতুন ভবন নির্মাণ না করা পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ওই ভবনে আর ক্লাস না করার কথা জানায় শিক্ষার্থীরা।

এ ঘটনার পর বিদ্যালয়ে পৌঁছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অভিভাবকরা। তারা বলেন, ‘অনেকদিন ধরেই পলেস্তারা খসে পড়ছে বলে জানতাম। কিন্তু কারও কোন মাথাব্যথা নেই। ওই ভবনে ক্লাস করার কোন পড়াশোনার পরিবেশ নেই। আজ বড় রকমের প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারতো। আল্লাহ শিশুদের রক্ষা করেছেন। নতুন ভবন নির্মাণ না করা পর্যন্ত ওই স্কুলে আর বাচ্চাদের পাঠাবো না।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘২০০৪ সালে পিডিটু প্রকল্পের আওতায় ভবনটি নির্মাণ করা হয়। ২-৩ বছর ধরেই বিভিন্ন স্থানের পলেস্তারা খসে পড়া দেখে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেছিলাম। তারা মাঝে মাঝে এসে ঘুরে দেখে গেছেন কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা না করায় ক্লাস চালিয়ে যাচ্ছিলাম। আজ দুর্ঘটনা ঘটে গেল। ভবনটি এখন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কোনভাবেই ক্লাস করার পরিবেশ নেই। দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।’

রাজাপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি শোনার পর ভিডিও কলে দেখেছি, ওখানে যাওয়া হয়নি। প্রধান শিক্ষককে একটি আবেদন করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ওই কক্ষটিতে তালা লাগিয়ে রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার পরিদর্শন করার পর ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হবে এবং পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon