ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি- ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে পদ্মা নদীতে স্পিডবোট সংঘর্ষে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ইমেইল ও ডাক যোগে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এবং নৌ-পরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক, ফরিদপুর ও ঢাকার জেলা প্রশাসক, চরভদ্রাসনও দোহার উপজেলার নির্বাহী অফিসারকে লিগ্যাল নোটিশে বিবাদী করা হয়। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মানবাধিকার সংস্থা ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওসার এ নোটিশ পাঠান। নোটিশ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য বলা হয়েছে। তাছাড়া নদী পারাপারে যাত্রীদের বীমার আওতায় এনে ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনায় সেখান থেকে অর্থ প্রদানের জন্য এবং সংঘটিত দুর্ঘটনাটি তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে অনুরোধ করা হয়েছে। তা না হলে আইনি প্রতিকার চেয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়া হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়। হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন গোপালপুর ঘাট এবং মৈনট ঘাট দিয়ে পদ্মা নদী পারাপার করে। ঘাট দুটো উপজেলা প্রশাসন এবং জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণাধীন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় দুই ঘাট থেকে যাত্রী বোঝাই করে গন্তব্যে রওয়ানা হলে দুইটি স্পিডবোটের মুখোমুখি সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৬ জন নিহত হয়েছে। নোটিশে আরও বলা হয়, স্পিডবোট গুলোর ওপর নোটিশ গ্রহীতাদের নিয়ন্ত্রণ থাকার পরও কর্তৃপক্ষ সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় এতগুলো প্রাণ অকালে ঝরে গেছে। তারা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। তাদের দায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলায় পাঁচজনের মৃত্যুসহ অসংখ্য মানুষ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আছেন, যাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গত রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একটি স্পিডবোট দোহারের মৈনটঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে চরভদ্রাসন গোপালপুর ঘাটে আসার সময় অপর দিক থেকে আসা একটি স্পিডবোটের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এ ঘটনায় ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা করা হয়েছে।
মন্তব্য