মুবিন বিন সোলাইমান, চট্টগ্রাম:
“সুস্থ সবল বেকারদের নিয়ে কিছু করার প্রত্যয় নিয়ে স্বপ্নকে লালন করছি। দরিদ্র পরিবারের প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নিয়েছি কোনদিন ভিক্ষা করি নাই, কোন না কোন কিছু করার চেষ্টা করেছি, কোন সময় খেয়েছি কোন সময় ক্ষুদা নিয়ে ঘুমিয়েছি। এরপরেও কারো কাছে হাত পাতিনি, ছোটবেলা থেকে মুরগির ডিম বিক্রি করে টাকা জমিয়ে এই ব্যবসা দাঁড় করিয়েছে”
জীবন যুদ্ধে হার না মানা আকাশসমান স্বপ্ন নিয়ে কথাগুলো বলছে, হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ড বাথুয়া এলাকার জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী ৩২ বছর বয়সী মোঃ মনছুর। ৩ ছেলে ৬ মেয়ে সন্তানের মধ্যে মোঃ মোছা’র ছোট ছেলে মোঃ মনছুর বিবাহিত জীবনের ৫ বছর বয়সী এক মেয়ে সন্তানের জনক।
হাটহাজারী উপজেলা বাথুয়া কাপ্তাই সড়কের পাশে ছোট একটি কাঠের বাক্স নিয়ে সিগারেট ও মোবাইলের রিচার্জ সাথে বিভিন্ন অফারেটরের কার্ড বিক্রি করেন মোঃ মূছা। ২০০১ সালে দিকে মুরগির ডিম বিক্রি করে জমানো দুই হাজার টাকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করে, পরে ছয় মাস অন্তর অন্তর সরকারের প্রতিবন্ধী ভাতা চার হাজার পাঁচশো টাকা যোগ করে সাড়ে ছয় হাজার টাকা দিয়ে এই ব্যবসা শুর করে। এই অল্প পুঁজির ব্যবসা থেকে চলে তার সংসার, প্রবল ইচ্ছা তার শিশু শ্রেণীতে অধ্যায়নরত মেয়েকে ডাক্তারি পরাবেন। নুন আনতে পান্তা ফুরায় সংসারে, তবু কোন রকম চালাচ্ছে সংসার। তার দাবি ইউনিয়ন পরিষদ প্রতিবন্ধী ভাতা ছাড়া তাকে দেওয়া হয় না সরকারি ১০টাকা চাউলের কার্ড বা অন্যান্য সুবিধা।
এলাকার প্রতিবেশী মোঃ এরশাদ বলেন, মনছুরের দরিদ্রতার কথা আমরা সকলেই অবগত, প্রতিবন্ধী হলেও তার মনুষ্যত্বের মানবিক মনটি অনেক বিশাল। মানবিক সমাজে বিত্তবানদের কাছে অনুরোধ থাকবে কারো সক্ষমতা থাকলে মুছা একটি দোকানের ব্যবস্থা করে দিয়ে তার দরিদ্র পরিবার ও অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ হাত থেকে রেহাই দিতে সহযোগিতা হাত বাড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।
মন্তব্য