বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার বাধাল ইউনিয়নের শাখারিকাঠী বাজার—১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের এক করুণ ইতিহাস বহন করছে আজও।
১৯৭১ সালের ৩ মে—পাক সেনারা স্থানীয় হাট থেকে ধরে নিয়ে যায় নিরীহ মানুষদের।
নির্যাতনের পর গুলি করে হত্যা করা হয় অন্তত ২৮ জনকে। পরে আরও ১৪ জনকে পাওয়া যায়। মোট ৪২ জনের নাম প্রকাশিত হয়।
হত্যার পর শহিদদের লাশ ফেলে রেখে যায় সেনারা। পরে রামচন্দ্রপুর বধ্যভূমিতে দ্রুত মাটিচাপা দেওয়া হয়। যা পরিণত হয় এক গণকবরে।
স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন অবহেলায় পড়ে থাকলেও, পরবর্তীতে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে নির্মিত হয় শহিদ মিনার ও স্মৃতিফলক।
এলাকাবাসীর দাবি—শুধু শাখারিকাঠী নয়, পাশের রামচন্দ্রপুর বধ্যভূমিতেও একটি পূর্ণাঙ্গ স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হোক।
শাখারিকাঠী শহিদ মিনার মুক্তির ইতিহাসের অমূল্য সাক্ষ্য
শাখারিকাঠী শহিদ মিনার শুধু একটি স্থাপনা নয়—এটি কচুয়া ও বাগেরহাটের মুক্তির ইতিহাসের অমূল্য স্মৃতিচিহ্ন।
মন্তব্য