রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে গেমস অ্যান্ড স্পোর্টস সেক্রেটারি হিসেবে নিজের প্রার্থিতা ঘোষণা করেছে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী মো. ইয়াসিন আরাফাত বিজয়।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট চত্বরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রার্থিতা ঘোষণা করেন তিনি।
এসময় পদপ্রার্থী হিসেবে পাঁচটি নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন তিনি। সেগুলো হলো- শুধু পেশাদার খেলোয়াড় নয়, সাধারণ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সব হলের শিক্ষার্থীদের জন্য খেলাধুলার সুযোগ নিশ্চিত করা; নারী খেলোয়াড়দের বিশেষ সহায়তা। মেয়েদের অংশগ্রহণ ও নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া। এবং অতি দ্রুত মেয়েদের জিমনেসিয়াম চালুর ব্যবস্থা করা; খেলাধুলার মাঠ, জিমনেসিয়াম ও সরঞ্জামাদির যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ ও সম্প্রসারণ; আধুনিক গেমসের পাশাপাশি কাবাডি কিংবা হাডুডুর মতো ঐতিহ্যবাহী খেলার পুনর্জাগরণ করা এবং প্রতি বছর ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বার্ষিক গেমস ফেস্ট’ আয়োজনের ব্যবস্থা করা, যেখানে প্রতিটি শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে আমার প্রধান লক্ষ্য।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইয়াসিন আরাফাত বিজয় বলেন, একজন ক্রীড়াপ্রেমী শিক্ষার্থী হিসেবে আমি বিশ্বাস করি, খেলাধুলা কেবল মাঠের আনন্দ নয়, বরং তা আমাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার চালিকাশক্তি, একতার সেতুবন্ধন, এবং আগামী দিনের নেতৃত্ব গড়ে তোলার অন্যতম হাতিয়ার। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠগুলো আমাদের প্রাণ। কিন্তু আমরা কি সেসব মাঠের পূর্ণ সম্ভাবনা ব্যবহার করতে পেরেছি? উত্তর হবে না। আমাদের খেলোয়াড়রা জাতীয় পর্যায়ে সাফল্য এনেছে, অথচ তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত হয়নি। আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীরাও খেলতে চায়, সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে চায়, কিন্তু অনেক সময় অবকাঠামো আর পরিকল্পনার অভাবে তারা পিছিয়ে পড়ে।
বিজয় আরও বলেন, খেলার মাঠই শ্রেষ্ঠ শ্রেণিকক্ষ। সেখানে শেখা যায় দলগত চেতনা, শৃঙ্খলা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং ভ্রাতৃত্ববোধ। তাই শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞানের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আজ আমি ঘোষণা দিচ্ছি যদি আপনাদের ভালোবাসা ও সমর্থনে গেমস অ্যান্ড স্পোর্টস পদে নির্বাচিত হই, তবে আমার প্রতিটি পদক্ষেপ হবে শিক্ষার্থীদের কণ্ঠের প্রতিফলন। গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে গবেষণাধর্মী স্পোর্টস নিশ্চিত করাই হবে আমার প্রধান লক্ষ্য। সম্প্রতি আমি স্টেডিয়াম-সংক্রান্ত প্রশাসনের কাছে ১০ দফা দাবি পেশ করেছি, ৪ দফা আলোর মুখ দেখেছে, বাকি ৬ দফা বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাব। একটি আধুনিকায়ন স্টেডিয়াম সকল শিক্ষার্থীর প্রত্যাশার জায়গা। আমার স্লোগান- ‘খেলার মাঠই হোক শ্রেষ্ঠ শ্রেণিকক্ষ।’
মন্তব্য