নিজস্ব প্রতিবেদক:
নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের উত্তর জুরকাঠি গ্রামের চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও হকার মাইনউদ্দিনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩০ জুন সোমবার সবিকেল ৫ টার সময় উত্তর জুরকাঠির প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পটুয়াখালী মহাসড়ক পর্যন্ত এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এই মানববন্ধনে অংশ নেন এলাকার ভুক্তভোগী ও আপামর সাধারণ জনগন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, খান মাইনউদ্দিন এক সময় পত্রিকার হকার ছিলেন। তার শিক্ষাগত যোগ্যতাও চতুর্থ শ্রেনী পর্যন্ত। এমতাবস্থায় ভুইফোর পত্রিকার আইডি কার্ড গলায় ঝুলিয়ে নিজেকে সাংবাদিক বলে এলাকায় জাহির করেন। কিন্তু আঞ্চলিক প্রবাদে আছে “গায়ে মানে না আপনি মোড়ল” এলাকাসী যেখানে তাকে সাংবাদিক বলে স্বীকারই করে না আর সেখানে মাইনুদ্দিন নিজেকে সাংবাদিক দাবি করে এলাকায় বুক ফুলিয়ে চলাফেরা করে। আর অন্য দিকে পাবলিক তাকে দেখলে মুখে মুচকি হেসে পাস কাটিয়ে চলে যায়।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইসলাম ট্রেডার্সের কর্ণধার জানিয়েছেন, সরকারী-বেসরকারী স্থাপনা, রাস্তাঘাট, কালভার্ট এর কাজ শুরু হলে কাজে নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ এনে তিনি চাঁদাদাবি করেন। চাঁদা না দিলেই তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। এমতাবস্থায় ধীরে ধীরে তিনি এলাকায় চাঁদাবাজ ও মামলাবাজ হিসেবে পরিচিতি পান।
বছর দেড়েক আগে উওর জুরকাঠি আজিজিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে ছিলেন এই মাইনুদ্দিন। এরপর মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে মামলা করলে হাত পা ধরে মুচলেকা দিয়ে সে মামলা থেকে পার পেয়ে যান। এছাড়াও জুরকাঠী নিবাসী ড্রাইভার আবুর প্রবাসী ছেলে বাড়িতে আসার খবর পান মাইনুদ্দিন। এরপরে তার কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে।
চাঁদাবাজি, মিথ্যা মামলা ও ব্ল্যাকমেইলিং যেন তার একটা পেশাতে পরিণত হয়েছে। এলাকাবাসী তার কর্মকান্ডে এতটাই বিরক্ত যে, তাকে কয়েকবার গণধোলাই দিতে বাধ্য হয়েছেন। গত ২৪ জুন এলাকাবাসী গণধোলাই দিয়ে তাকে হাসপাতালে পাঠান। তিনি এতটাই নিঃলজ্জ ও বেহায়া এসব গণধোলাই তার কাছে পান্তাভাতের মত। এলাকাবাসীর একটাই দাবি, মাইনুদ্দিনকে এলাকা ছাড়তে হবে।
তার বিরুদ্ধে নলছিটি থানায় অভিযোগের পাহাড় রয়েছে। কয়েকবার জেলও খেটেছেন তিনি। সর্বশেষ দপদপিয়া ইউনিয়নের সাবেক এক সদস্য সাইফুল আকনের উপর হামলা ও তাকে নিয়ে ফেসবুকে অপপ্রচার করার অপরাধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বেশ কয়েকদিন হাজতবাস করেন। এরপরও থেমে নেই তার চাঁদা দাবি ও ব্ল্যাকমেইলিং। শেষ পর্যন্ত তার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে সোমবার তার বিচার ও তাকে এলাকা থেকে বিতাড়িত করার দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন দপদপিয়া ইউনিয়নবাসী।
মন্তব্য