সিয়াম সরকার, পলাশ উপজেলা প্রতিনিধি:
বিদেশে গিয়ে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখেছিলেন সোহান মিয়া (২৮)। কিন্তু সেই স্বপ্নই হয়ে উঠল তার মৃত্যুর কারণ। দালালের মাধ্যমে রাশিয়া গিয়ে জড়িয়ে পড়েন ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে, আর সেখানেই প্রাণ হারান নরসিংদীর পলাশ উপজেলার এই যুবক।
নিহত সোহান গজারিয়া ইউনিয়নের ইছাখালী গ্রামের মৃত সোহরাব মিয়ার ছেলে। তার পরিবারে রয়েছেন বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও ১৬ মাসের একমাত্র সন্তান। শনিবার (২১ জুন) বিকেলে রাশিয়ায় অবস্থানরত বন্ধু জাফরের ফোনে সোহানের মৃত্যুর খবর পান স্বজনরা। খবর শুনে পরিবারের মধ্যে নেমে আসে শোকের ছায়া।
জানা যায়, সোহান ও তার বোনজামাই আকরাম মিয়া ইউরোপে যাওয়ার আশায় দালালের কাছে ১৪ লাখ টাকা দেন। কথা ছিল সাইপ্রাসে চাকরি, কিন্তু তাদের পাঠানো হয় রাশিয়ায়। সেখান থেকে সোহানকে সরাসরি সেনা ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অস্ত্রচালনার প্রশিক্ষণ শেষে তাকে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হয়, আর সেখানেই বোমা বিস্ফোরণে তার মৃত্যু হয়। অন্যদিকে আকরাম পালিয়ে দেশে ফিরে আসেন।
সোহানের মা নূরুন্নাহার ও স্ত্রী হাবিবা আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, বারবার প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও দালালদের সাথে যোগাযোগ করেও সোহানকে ফেরত আনতে পারেননি। এখন তাদের একমাত্র দাবি—সোহানের মরদেহ যেন দেশে ফিরিয়ে আনা হয় এবং জড়িত দালালদের কঠোর বিচার হয়।
পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, “পরিবার থেকে আবেদন পেলে মরদেহ ফেরাতে আমরা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা নেবো। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।”
মন্তব্য