ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঝালকাঠিতে যুবলীগ নেতা ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর শাহ আলম খান ফারসুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি ঝালকাঠি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। রোববার (২২ জুন) দিবাগত রাতে শহরের নিজ বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে বিএনপির আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে হামলা ও বোমা বিস্ফোরণের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঝালকাঠি জেলা মহিলা দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তা বেগম বাদী হয়ে ২০২৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আইনজীবী সমিতি এলাকায় মিছিল করছিলেন। সে সময় দেশীয় অস্ত্র ও ককটেল, বোমাসহ শাহ আলম খান ফারসুসহ অন্য আসামিরা অতর্কিত হামলা চালান। এতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং অনেকে আহত হয়ে পালিয়ে যান।
মুক্তা বেগম অভিযোগ করেন, তিনি ঘটনার সময় তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন এবং হামলার শিকার হয়ে তাঁর গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে, ফারসু ও তাঁর সহযোগীরা মুক্তা বেগমকে রাস্তায় ফেলে পেটে ও বুকে আঘাত করেন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা গিয়ে তাঁকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেন। পরবর্তীকালে আত্মীয়দের সহায়তায় গোপনে চিকিৎসা নেওয়া হয় এবং চিকিৎসকেরা জানান, হামলার কারণে তাঁর গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়েছে।
বাদী মুক্তা বেগম জানান, তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ভয়ের কারণে তিনি মামলা দায়ের করতে পারেননি। বর্তমানে দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকায় ন্যায়বিচারের আশায় মামলাটি দায়ের করেছেন।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, মামলার পর থেকে শাহ আলম খান ফারসু পলাতক ছিলেন। তিনি এই মামলার ২৬ নম্বর আসামি। এ ছাড়া ফারসুর নামে বেশ কয়েকটি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মন্তব্য