ভোলা জেলা সংবাদদাতা
ভোলা দৌলতখান উপজেলায় বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) উপজেলা কৃষি অফিস চত্বরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে শুরু হয়েছে, জাতীয় ফল মেলা-২০২৫। তিন দিনব্যাপী এ মেলার প্রতিপাদ্য ছিল— “দেশি ফল বেশি খাই, আসুন ফলের গাছ লাগাই”।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,জনাব মুন্নী ইসলাম,সহকারী কমিশনার (ভূমি) দৌলতখান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন,দৌলতখান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়রা সিদ্দিকা এবং সঞ্চালনা করেন মোঃ রাজিব হোসেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ রুবেল মিয়া,গণ্যমান্য ব্যক্তি, কৃষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকবৃন্দ।
মেলার শুরুতেই ছিল একটি বর্ণাঢ্য র্যালি,পরে কৃষি অফিস চত্বরে ফলদ বৃক্ষ রোপণ করা হয়। এছাড়া কৃষক, কৃষাণী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে ফল চারা বিতরণ করা হয়।
প্রধান অতিথি, জনাব মুন্নী ইসলাম,সহকারী কমিশনার (ভূমি)বলেন,>“ফল শুধু পুষ্টিকর নয়, একটি স্বাস্থ্যকর জাতি গঠনের অন্যতম হাতিয়ার।”
দৌলতখান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়রা সিদ্দিকা বলেন,“সব ঋতুতে দেশি মৌসুমী ফল খাওয়া এবং বাড়ির আঙিনায় ফল গাছ লাগানো আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিত করবে।”।
প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন ধরনের ফল যোগ করা উচিত। খাবারের আগে ফল খেলে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ কম হতে পারে। ফলের রস পান করার চেয়ে পুরো ফল খাওয়া বেশি উপকারী, কারণ এতে ফাইবার বেশি থাকে। বিভিন্ন ফলের পুষ্টিগুণ বিভিন্ন রকম, তাই বিভিন্ন ধরনের ফল খাওয়া উচিত।
ফলের মাধ্যমে বৈচিত্র্যময় হয় মানুষের খাদ্যাভ্যাস। পাশাপাশি ফল বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ, এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবারের অসাধারণ উৎস। নিয়মিত ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই নিয়ম করে সকল ঋতুতে দেশীয় মৌসুমী ফল খেতে হবে। ফলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে বাড়ির আঙিনায় বা ছাদে এবং সম্ভাবনাময় সকল ক্ষেত্রে ফলের গাছ রোপন করতে হবে।
রাজধানীসহ সারাদেশের ৬৪টি জেলার ৪৩১টি উপজেলায় এ ফল মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বর্তমানে একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক ফলের চাহিদা ২০০ গ্রামের বিপরীতে মাত্র ৫৫-৬০ গ্রাম খেতে পারছে। এটিকে ২০০ গ্রামে উন্নীত করতে কাজ করছে সরকার।
মেলায় বিভিন্ন দেশীয় ফল এবং ফল গাছের চারা প্রদর্শনীর ৪টি স্টল এ প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
মন্তব্য