শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫
 

বিশ্ব রাজনীতি এবং বিশ্ব যুদ্ধ,ভারত,পাকিস্তান ও বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৫

 

---

মো জাকির হোসেন

বিশ্ব রাজনীতি,এবং বিশ্বযুদ্ধ

বিশ্ব রাজনীতি হলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সম্পর্ক, ক্ষমতা, কূটনীতি, অর্থনীতি ও সামরিক নীতির মিশ্র একটা ক্ষেত্র।

প্রধান বৈশিষ্ট্য:

* শক্তির লড়াই: যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বড় শক্তিগুলো নিজেদের প্রভাব বিস্তারে প্রতিযোগিতা করে।

* জাতিসংঘের ভূমিকা: শান্তি রক্ষা, মানবাধিকার নিশ্চিতকরণ, এবং দ্বন্দ্ব নিরসনে জাতিসংঘ গুরুত্বপূর্ণ।

* সংঘাত ও সহযোগিতা: যেমন ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট বিশ্ব রাজনীতির বড় অংশ। আবার জলবায়ু পরিবর্তন, বাণিজ্য বা করোনা মহামারির মতো বিষয়েও দেশগুলো একসঙ্গে কাজ করে।


⚔️ বিশ্বযুদ্ধ,

বিশ্বের ইতিহাসে দুটি বড় বিশ্বযুদ্ধ হয়েছে —

 প্রথম (১৯১৪–১৯১৮)

কারণ: ইউরোপের সাম্রাজ্যবাদ, অস্ত্র প্রতিযোগিতা, জাতীয়তাবাদীর।

মুল পক্ষের তখন মিত্রশক্তি ছিল (ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া, পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)

কেন্দ্রীয় শক্তির মহাপ্রভব   (জার্মানি, অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি, অটোমান সাম্রাজ্য)

 এই প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় এক কোটি মানুষ/জনসংখ্যা ।


জার্মানির পরাজয় এবং শান্তির চুক্তি।

লিগ অফ নেশনস গঠন  (যা পরে জাতিসংঘ হয়)।

বিশ্বশান্তি বজায় রাখা, ভবিষ্যতে কোনো যুদ্ধ যেন না হয় তা নিশ্চিত করা,

দেশগুলোর মধ্যে বিবাদ মীমাংসা করা আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে।

এবার আসি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (১৯৩৯-১৯৪৫ ইংরেজি সালে

হিটলারের নেতৃত্বে নাৎসি জার্মানি, প্রথম যুদ্ধের প্রতিশোধ, ফ্যাসিবাদ।

প্রধান পক্ষ মিত্রশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সোভিয়েত ইউনিয়ন, চীন)

অপর দিকে অক্ষশক্তি (জার্মানি, ইতালি, জাপান)

এই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সাত কোটির বেশি মানুষ মারা যায়।



বিশ্ব যুদ্ধ এবংবিশ্ব রাজনীতি সবসময় পরিবর্তনশীল, এবং অতীতের যুদ্ধ থেকে শিক্ষা নিয়ে এখন দেশগুলো শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করা।  — যদিও এখনো অনেক জায়গায় যুদ্ধ ও সংকট চলছে।

শান্তি রক্ষা, মানবাধিকার নিশ্চিতকরণ, এবং দ্বন্দ্ব নিরসনে জাতিসংঘ গুরুত্বপূর্ণ।

এবার আসি আমাদের ভারতবর্ষে  ভারত বিভাগে,

১৯ শতক থেকে ভারত ব্রিটিশ শাসনের অধীনে ছিল।

(১৯৪৭) ব্রিটিশ শাসন উচ্ছেদ হয়ে গেল,


মুসলিমদের জন্য একটি আলাদা রাষ্ট্রের দাবি তোলা হয় (দ্বি-জাতি তত্ত্ব অনুযায়ী)।

পাকিস্তানের সৃষ্টি:

১৯৪৭ সালে ভারত ভাগ হয়ে দুটি দেশ হয়: ভারত (হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ) ও পাকিস্তান (মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ)।

পাকিস্তান দুই অংশে বিভক্ত ছিল,

পশ্চিম পাকিস্তান (বর্তমান পাকিস্তান),

পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ)।

পূর্ব পাকিস্তানের বঞ্চনা (১৯৪৭–১৯৭১)

 ভাষা আন্দোলন (১৯৪৮–১৯৫২):

পাকিস্তান সরকার উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করতে চায়,

বাংলাভাষীদের প্রবল প্রতিবাদের ফলে ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালে ছাত্ররা শহীদ হন।

ভাষা আন্দোলন ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদের শক্ত জাগরণ।অর্থনৈতিক বৈষম্য:

পূর্ব পাকিস্তান আয় করলেও অধিকাংশ টাকা খরচ হতো পশ্চিম পাকিস্তানে।


উন্নয়ন, প্রশাসন, শিক্ষা—সব ক্ষেত্রে বৈষম্য ছিল।

 রাজনৈতিক অবিচার:

পূর্ব পাকিস্তানে জনসংখ্যা বেশি হলেও শাসনক্ষমতা ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের হাতে।

১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ জয় পেলেও ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা হস্তান্তর করলেন না,দিন চলমান গতিতে শুরু হলো ততকালীন পুর্বপাকিস্তান স্বাধীনতার আন্দোলন,মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার অপারেশন সার্চলাইট (২৫ মার্চ, ১৯৭১):

পাকিস্তান সেনাবাহিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশে গণহত্যা চালায়,এরপর শুরু হয় স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধ (মার্চ–ডিসেম্বর, ১৯৭১):


৯ মাস ব্যাপী মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হন এবং ২-৩ লাখ নারী ধর্ষণের শিকার হন।

ভারত, বাঙালি জনগণ, এবং মুক্তিযোদ্ধাদের মিলিত প্রচেষ্টায় পাকিস্তানি বাহিনী পরাজিত হয়।

বাংলাদেশের জন্ম (১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১):

পাকিস্তান সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করে।

জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।


চলমান মাস জুন ২০২৫ইং

বর্তমান যুদ্ধ চলছে একেবারে তীব্র পর্যায়ে। ইরান–ইস্রায়েল উভয়েই বিকল্প হামলা চালাচ্ছে, গুরুতর বেসামরিক ক্ষতি হচ্ছে, এবং বিশ্বশক্তিগুলো পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সম্ভাব্য কূটনৈতিক বা সামরিক পদক্ষেপ বিবেচনা করছে। যুদ্ধ বিস্তৃত না করে কূটনৈতিক শান্তি বজায় রাখা সকল পক্ষের জন্য জরুরি।

আমরা আমাদের সকলের শান্তি চাই।

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon