শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫
 

নারায়ণগঞ্জ ১ আসনে মনোনয়ন দৌড়ে কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা দুলাল হোসেন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৫

---





রাকিব উদ্দিন ফয়সাল,রূপগঞ্জ ( নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ-১ ( রূপগঞ্জ)  আসনে জাতীয় সংসদ সদস্য মনোনয়নে বিএনপি থেকে  ত্যাগি নেতাদের মূল্যায়ন চায় যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেন। বিগত ১৭ বছরে যারা দলের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে আওয়ামীলীগের  জেল,জুলুম, হত্যা,গুমের শিকার হয়েছেন তাদের সামনের সাঁড়িতে রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।


নারায়ণগঞ্জ ১ রূপগঞ্জ আসন থেকে আগামী জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী মোহাম্মদ দুলাল হোসেন বলেন,  তৃণমূল থেকে উঠে আসা জাতীয়তাবাদী আদর্শের একজন অগ্র সৈনিক হিসেবে  সক্রিয় ছাত্রনেতা হিসেবে গত ১৭ বছর আন্দোলন-সংগ্রামে সম্মুখ সারীর একজন যোদ্ধা হিসেবে কাজ করে আসছি। আমার রয়েছে  রাজনৈতিক এক বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার। যুবদলের রাজনীতি শেষে রূপগঞ্জ থানা বিএনপির হয়ে কাজ করছি। এখানকার বিএনপির রাজনীতি শক্তিশালী করতে দলের নানা কর্মসূচি  বাস্তবায়ন করছি।


বিএনপির স্থানীয় নেতৃবৃন্দের দেয়া তথ্যমতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সাবেক আহ্বায়ক সদস্য হিসেবে বিএনপির রাজনীতি শুরু করেন দুলাল হোসেন।   রূপগঞ্জের স্থানীয় আদিবাসিন্দা হিসেবে দুলাল হোসেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সক্রিয়ভাবে মাঠে থেকে আন্দোলন করেছেন।


দুলাল হোসেনের সাথে কথা বলে জানা যায়,  ৫ আগস্ট-পরবর্তী  রূপগঞ্জকে আধুনিকভাবে সাজাতে চান দুলাল হোসেন। তিনি রূপগঞ্জ তথা নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে কাজ করছেন। ইতিমধ্যে এলাকার তরুণ সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে বিএনপির রাজনৈতিক ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গত ১৭ বছর রূপগঞ্জ ছিল সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে খ্যাত। সেই আগের অবস্থায় রূপগঞ্জকে তিনি আর নিয়ে যেতে চান না। তাই ভালো রাজনৈতিক বার্তা দিয়ে এলাকার জনসাধারণের মাঝে ব্যক্তিগতভাবে একটি ক্লিন ইমেজ তৈরি করেছেন তরুণ এ নেতা। এলাকার দখল চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সক্রিয় অবস্থান নিয়ে ইতিমধ্যে তিনি সকলের নজর আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছেন। নিজের এমন ইমেজ নিয়ে দলেও ভালো একটি অবস্থান তৈরি করেছেন।


দুলাল হোসেনের বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় একজন বিএনপি নেতা প্রতিবেদককে বলেন, জননেতা মোহাম্মদ দুলাল হোসেন ভাই বিদেশে বসে, এসি রুম থেকে বের হয়ে একদিনে নেতা তৈরি হয়নি। ঢাকার উত্তপ্ত রাজপথ থেকে তিলে তিলে বেড়ে ওঠা নেতৃত্ব জননেতা মোহাম্মদ দুলাল হোসেন। আগামী দিনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাণ্ডারি হিসেবে দেখতে চাই আমরা।


রাজনৈতিক জীবনে দুলাল হোসেন ৯৬ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ৩০ বছর আগে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করেন। পরে তিনি বাড্ডা থানা ছাত্রদলের আহবায়ক সদস্য, সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল সদস্য, ছাত্রদল মনোনীত তিতুমীর কলেজ ছাত্র সংসদ ভিপি মনোনয়ন, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সাধারণ-সম্পাদক, পরে কেন্দ্রীয় সহসভাপতি নিযুক্ত হন। যুবদলের রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে সহসাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দুলাল হোসেন। বর্তমানে তিনি জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নারায়ণগঞ্জ জেলা আহবায়ক কমিটি আহবায়ক সদস্য হিসেবে কাজ করছেন।


দুলাল হোসেনের ব্যক্তিগত ইমেজের বিষয়টি প্রায় সামাজিক মাধ্যমে উঠে আসে এজন্য তিনি একজন সত্তা জাতীয়তাবাদী হিসেবে ক্লিন ইমেজের রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে রূপগঞ্জবাসীর মুখেমুখে আছেন। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি লেখায় তিনি বিএনপির রাজনীতির ইমেজ তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, নেতার সাথে ছবি তুলে সেই ছবি দেখাইয়া চাদাবাজী/দখলবাজী করতে গেলে আইন প্রশাসনের হাতে তুলে দিন। তারপর যদি নেতা ফোন দেয় তাকেও আইনের আওতায় নিয়ে আসুন। দলের জন্য ৩০ বছর যৌবন হারিয়েছি। চাঁদাবাজ/দখলবাজদের জন্য দলের বদনাম শোনার জন্য নয়। আমরা ব্যানার ধরার জন্য, মিছিল করার জন্য ১৭ বছর যাদের পেয়েছি তারাই প্রকৃত কর্মী এবং নেতা। সুতরাং চাদাবাজী/দখলবাজরা আমাদের দলের কেউ না।

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon