মোঃ শাকিল মোল্লা, রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি:
রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নে সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় টানা ৩৬ ঘণ্টার অভিযানে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে রাজবাড়ী জেলা পুলিশ। অভিযান পরিচালিত হয় গাজীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
ঘটনাটি ঘটে গত ২৪ মে ২০২৫ ইং, রাত আনুমানিক ১টা ৪৫ মিনিটে। চন্দনী ইউনিয়নের এক বাড়িতে ১৫-২০ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল লোহার রড, কাঠের বাটাম ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তারকাটা কেটে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। তারা ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে পরিবারের সদস্যদের মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ছয় লক্ষ টাকা ও পাঁচ-ছয় ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নেয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ।
ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ সুপার জনাব মোঃ কামরুল ইসলাম নির্দেশক্রমে এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) জনাব শরীফ আল রাজীব এর তত্ত্বাবধানে জেলা গোয়েন্দা শাখার ইনচার্জ মোঃ মফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত একটি টিম একটানা ৩৬ ঘণ্টা অভিযান চালায়। অভিযানে অংশগ্রহণ করেন এসআই(নিঃ) শামীম হাসান, এসআই(নিঃ) সৌরভ কুন্ডু, এসআই(নিঃ) শামীম হাজরা, এসআই(নিঃ) শিমুল শেখ এবং অন্যান্য পুলিশ সদস্যগণ।
অভিযানে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর, কালিয়াকৈর, সালনা ও চন্দ্রা এলাকা থেকে যেসব ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয় তারা হলেন:গাজীপুর জেলার কাশিমপুর উপজেলার কাদের সরদারের ছেলে মো শাহ আলম ভাঙ্গারী (৪৫) ,রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার মৃত আনছার আলীর ছেলে মোঃ শফিকুল ইসলাম (৩৬),সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলার আলতাফ হোসেনের ছেলে মোঃ নূর হোসেন(৪০),টাঙ্গাইল জেলার ভূয়াপুর উপজেলার মৃত একেন্দালী সরকারের ছেলে মোঃ মামুন সরকার(৪২),টাঙ্গাইল জেলার ভূয়াপুর উপজেলার মোঃ ছাত্তারের ছেলে মোঃ সেলিম(৩০)।গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলার থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এদের মধ্যে:শাহ আলম ভাঙ্গারী এর নামে রয়েছে ৫টি গৃহ ও সড়ক ডাকাতি মামলা
শফিকুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে রয়েছে ১০টি মামলা। যার মধ্যে রয়েছে ডাকাতি, চুরি, মাদক, বিস্ফোরক দ্রব্য আইনসহ একাধিক অভিযোগ।নুর হোসেন এর বিরুদ্ধে রয়েছে ২টি মামলা, জুয়া ও চুরির অভিযোগে।গ্রেফতারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী জেলা পুলিশ সুপার জনাব মোঃ কামরুল ইসলাম বলেন,
“রাজবাড়ী জেলা পুলিশ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। সংঘবদ্ধ এই ডাকাত দলটি দেশের বিভিন্ন জেলায় সন্ত্রাস ও ভয়ভীতি ছড়াচ্ছিল। আমাদের গোয়েন্দা ও অভিযানে দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যদের নিরলস পরিশ্রমের ফলেই এই চক্রকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতেও রাজবাড়ীর জনগণকে নিরাপদ রাখতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
পুলিশের এই সফল অভিযানে এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করেছে এবং জেলা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে
মন্তব্য